বুধবার, ১৭ পৌষ, ১৪৩১ | ১ জানুয়ারি, ২০২৫

প্রায় দুই দশক ধরে ছোট ও বড় পর্দায় কাজ করছেন অভিনেত্রী মনিরা মিঠু। তবে সবচেয়ে বেশি দেখা যায় নাটকে। মিঠুর কর্মজীবন শুরু হয়েছিল নন্দিত কথাসাহিত্যিক এবং নির্মাতা প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে। তাঁর নির্মাণে অভিনয় দক্ষতা দেখিয়ে নজরে আসেন মনিরা মিঠু।
সম্প্রতি বেসরকারি গণমাধ্যম দেশ টেলিভিশনে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিজের অভিনয় নিয়ে কথা বলেছেন মনিরা মিঠু। সমসাময়িক নাটকের পরিস্থিতি এবং নিজেকে নিয়ে খুঁটিনাটিও দর্শকদের জানিয়েছেন তিনি। অভিনয় নিয়ে মনিরা মিঠু বলেন, ‘আমার কাজের পেছনে ছুটতে হয়নি, কাজ আমার পেছনে ছুটেছে। আজ অবধিও ছুটছে। কাজ থেমে নেই। চরিত্রগুলোতেও অভিনয় করে তৃপ্তি পাওয়া যায়। হোক সেটা কোন ছোট ইউটিউব চ্যানেল, মাঝারি ইউটিউব চ্যানেল কিংবা অনেক নামকরা ইউটিউব চ্যানেল। আমাকে প্রয়োজন হলে তারা আমাকে ডাকবেই।’
নাটকের বাজেট সম্পর্কে অভিনেত্রী বলেন, ‘অনেক গুণী নির্মাতা আছেন, যাঁরা কাজ পাচ্ছেন না, কারণ তাঁদের বাজেট ওরকম দেওয়া হচ্ছে না। এখন যাঁদের ভিউ বেশি, তাঁদেরই প্রচুর বাজেট দেওয়া হচ্ছে। ভিউ বেশি যাঁদের, তাঁরা নিঃসন্দেহে অনেক বেশি মেধাবী, তাঁরা অনেক ব্যতিক্রম গল্প নিয়ে কাজ করেন এবং তাঁদের শিল্পীরাও ব্যতিক্রম। তো সব ভালো নাটকে যে আমাদের ডাক থাকবে তা নয়, আমরা কিন্তু অনেক মাঝারি ইউটিউব চ্যানেল—তাদের নাটকে কাজ করেই জীবিকা নির্বাহ করছি, তাদের আমি কোনোভাবেই ছোটভাবে দেখব না।’

আমাকে যদি কেউ প্রশ্ন করে মিঠু আপু সব জায়গায় কাজ করছেন কেন? উত্তরে বলব, ‘অবশ্যই কাজ করব। এটা আমার পেশা। এখন যাঁদের ভিউ বেশি, বাজেট বেশি, তাঁদের যখন আমাকে প্রয়োজন পড়ে ডাকবে, আর যদি তাঁদের মনে হয় মিঠু আপা সব ডাকেই সাড়া দেন (অ্যাবেইলএবেল), তাহলে ডাকবে না। আল্লাহ যেখানে আমার রিজিক নির্ধারণ করে রেখেছেন, আমি সেখানেই কাজ করে খাব।’

সাক্ষাৎকারে মনিরা মিঠু নাটকের ভবিষ্যৎ নিয়েও শঙ্কা প্রকাশ করেন। তিনি বলেন, ‘আমার কেন যেন মনে হয় এমন একটা সময় কি আসবে, তখন আসলে নাটকটাই হারিয়ে যাবে? এ রকম একটা শঙ্কা কেন জানি কাজ করে মনের মধ্যে। পাশের দেশে কিন্তু এক ঘণ্টার নাটক নেই। তারা একটা সিরিয়াল করে ১০ বছর। আমাদের বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কিন্তু এটা সম্ভব না।’

নিজের জনপ্রিয়তা প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘ভালো লাগা তো আছেই, রাস্তায় নামলে সবাই সেলফি তুলতে আসে। সেলফি তুলি, গালিও খাই। ফেসবুকেও গালি খাই। দেখা গেল হসপিটালে রোগী দেখতে গেলাম, প্রচণ্ড মন খারাপ, সেই পরিস্থিতিতেও সেলফি তুলতে আসে, তখন মুখে নকল একটা হাসি দিয়ে তুলতে হয়। সেলফি রোগের মতো, ফেসবুকে আবার তারাই গালি দেয়। অবশ্য এটাও একটি ইতিবাচক দিক, আমার চাহিদা আছে বলেই তো সেলফি তুলতে চাচ্ছে। যেদিন থাকবে না সেদিন সেলফিও তুলতেও আসবে না।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version