সোমবার, ২২ পৌষ, ১৪৩১ | ৬ জানুয়ারি, ২০২৫

ঘন কুয়াশার দাপট আজও রয়েছে দেশজুড়ে। আজ শুক্রবার ছুটির দিন সকালে রাজধানীর আকাশ গতকাল বৃহস্পতিবারের মতোই কুয়াশায় ঢেকে আছে। শীতের অনুভূতিও বেড়েছে। এর মধ্যে দেশের অন্তত ছয় স্থানে শৈত্যপ্রবাহ শুরু হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তর সূত্র জানিয়েছে, আজ সারা দিনে কুয়াশা কমার তেমন লক্ষণ নেই।

গত ৩১ ডিসেম্বর থেকেই দেশের বিভিন্ন স্থানে কুয়াশা পড়তে শুরু করেছে। কমে গেছে তাপমাত্রা আর তাতে বেড়েছে শীতের প্রকোপ। তবে রাজধানীসহ দেশের কয়েকটি স্থানে কুয়াশা পড়তে শুরু করে গতকাল।

রাজধানীতে আজকের তাপমাত্রা গতকালের মতই অর্থাৎ ১৩ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে গতকাল থেকে রোদ না ওঠায় শীতের অনুভূতি অনেকটাই বেড়েছে।

গতকাল বিশেষ করে দেশের উত্তর জনপদে এমন কুয়াশা পড়ে যে দিনেও যানবাহনগুলোকে হেডলাইট জ্বালিয়ে চলাচল করতে দেখা যায়। রাজধানীতে এদিন একবারের জন্য সূর্যের মুখ দেখা যায়নি।

আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. হাফিজুর রহমান আজ সকালে বলেন, আজও রাজধানীতে কুয়াশা কেটে সূর্যের মুখ দেখার সম্ভাবনা কম। তবে আগামীকাল শনিবার থেকে তাপমাত্রা খানিকটা বাড়তে পারে।

এদিকে ঘন কুয়াশার মধ্যে আজ দেশের কয়েকটি স্থানে শুরু হয়েছে শৈত্যপ্রবাহ। এর মধ্যে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা সকাল ৯টা পর্যন্ত রেকর্ড করা হয়েছে উত্তরের জনপদ পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায়। এ শহরে তাপমাত্রা ছিল ৮ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। উত্তরের আরেক জনপদ কুড়িগ্রামের রাজারহাটের তাপমাত্রা ছিল ৯ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ ছাড়া কুষ্টিয়ায় আজকের তাপমাত্রা ৯ দশমিক ৬, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ৮, নওগাঁর বদলগাছীতে ৮ দশমিক ৫।

সর্বনিম্ন তাপমাত্রা যদি ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে নামে, তবে তাকে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বলা হয়।

আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, গতকাল থেকে যে ঘন কুয়াশা বিভিন্ন স্থানে পড়তে শুরু করেছে, একে বলে পরিচালন কুয়াশা। ভারতের দিল্লি, উত্তর প্রদেশ, বিহার ও পশ্চিমবঙ্গ হয়ে এক দীর্ঘ কুয়াশার চাদর বাংলাদেশ পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে। গত বছরের জানুয়ারিতেও দেশে প্রায় দুই সপ্তাহ ধরে কুয়াশা পড়েছিল।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version