মূল্য সংযোজন কর (মূসক) বা ভ্যাটের পাশাপাশি আয়করের আওতা বৃদ্ধির নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। সংস্থাটি বলেছে, আয়কর অব্যাহতির সংস্কৃতি থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসার ধারাবাহিকতায় আয়কর অব্যাহতির বেশ কিছু বিধান বাতিল ও সংশোধন করা হয়েছে। এমন আরও বেশ কিছু কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
ভ্যাট বাড়ানোর উদ্যোগের বিষয়ে এনবিআর নিজেদের বক্তব্য দিতে গিয়ে গতকাল শনিবার এক বিবৃতিতে আয়কর অব্যাহতির কিছু বিধান বাতিলের কথা জানায়।
এনবিআর বিবৃতিতে বলেছে, যেসব পণ্য ও সেবায় ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক ও আবগারি শুল্ক বৃদ্ধি করা হচ্ছে, তার মধ্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য নেই বিধায় সর্বসাধারণের ভোগ্যপণ্যের মূল্যবৃদ্ধি পাবে না এবং মূল্যস্ফীতিতে প্রভাব পড়বে না।
গত বুধবার উপদেষ্টা পরিষদের সভায় বিভিন্ন খাতে ভ্যাট বাড়ানোর বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়।
এনবিআর আরও বলেছে, সম্প্রতি ভ্যাট, আয়কর ও শুল্ক বিষয়ে গণমাধ্যমে প্রকাশিত কিছু সংবাদ জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের নজরে এসেছে। জনস্বার্থে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির শুল্ক করহারে ব্যাপক ছাড় দেওয়ার পাশাপাশি অভ্যন্তরীণ রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধি, এসডিজি (টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট) বাস্তবায়ন এবং জাতি হিসেবে স্বাবলম্বী হওয়ার লক্ষ্যে ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধি ও হার যৌক্তিকীকরণের লক্ষ্যে এনবিআর নানামুখী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে।
সংস্থাটি বলেছে, গত চার মাসে বাজারে নিত্যপণ্যের সরবরাহ বৃদ্ধি ও মূল্য স্থিতিশীল রাখার লক্ষ্যে চাল, আলু, পেঁয়াজ, চিনি, ডিম, খেজুর, ভোজ্যতেল ও কীটনাশকসহ আটটি পণ্যে আমদানি, স্থানীয় ও ব্যবসায়ী পর্যায়ে জনস্বার্থে শুল্ক, ভ্যাট ও আয়কর ছাড় দেওয়া হয় বিধায় রাজস্ব আদায় ব্যাপকভাবে হ্রাস পায়। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী ব্যতীত অন্যান্য খাত থেকে রাজস্ব বৃদ্ধি করা না গেলে বিপুল পরিমাণ বাজেট ঘাটতি দেখা দেবে।
ভ্যাটের আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি ভ্যাট, সম্পূরক শুল্ক এবং আবগারি শুল্কের হার ও পরিমাণ যৌক্তিকীকরণের মাধ্যমে রাজস্ব সংগ্রহ বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মধ্যবর্তী সময়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডকে বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হচ্ছে।