বুধবার, ২৪ পৌষ, ১৪৩১ | ৮ জানুয়ারি, ২০২৫

সচিবালয়ে আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নম্বর ভবন খুলে দেওয়া হয়েছে। নয় তলা ভবনের পুড়ে যাওয়া চারটি তলা ছাড়া বাকি পাঁচ তলায় অফিস শুরু করেছেন কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।

আগুন লাগার পর থেকে উপদেষ্টা এবং সচিব ছাড়া অন্য কারও গাড়ি সচিবালয় প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছিল না। রোববার (৫ জানুয়ারি) থেকে অন্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গাড়িও প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে।

এই হিসেবে বলা যায়, আগুন লাগার ১১ দিন পর অনেকটাই স্বাভাবিক হলো সচিবালয়।

আগুন লাগার পর থেকে ৭ নম্বর ভবনে গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি ও তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দিচ্ছিল না আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আজ রোববার গিয়ে দেখা গেছে ভবনটিতে সবাই প্রবেশ করতে পারছেন।

তবে পাঁচতলার পর (উপরের ফ্লোরগুলোতে) গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তা ছাড়া কাউকে প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না।

পাঁচতলায় পূর্ব পাশে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং পশ্চিম পাশে ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়। ভবনের চারতলায় আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ, তিনতলায় অভ্যন্তরীণ সম্পদ বিভাগ, দুইতলায় স্থানীয় সরকার বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অফিস করছেন।

সাত নম্বর ভবনের দুইতলায় উঠতেই পোড়া গন্ধ নাকে এসে লাগে। মেঝেতে ছাইয়ের ছোপ ছোপ কালো দাগ। বন্ধ আছে লিফট। পাঁচতলা পর্যন্ত উঠতে দেখা গেলো চলছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। তবে ভবনে পানি সরবরাহ বন্ধ রয়েছে, রয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ।

৬ থেকে ৯ তলা পর্যন্ত গিয়ে দেখা গেছে, চারটি তলার মেঝে সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। ফ্লোরগুলোর কলাপসিবল গেট তালা দেওয়া রয়েছে। এই চারটি ফ্লোরের সিঁড়ি একেবারে ধসে গেছে। কোথাও কোথাও খসে পড়েছে দেওয়াল। চারটি তলার মেঝে জুড়ে এখন ধ্বংসস্তুপ।

গত ২৫ ডিসেম্বর দিনগত রাতে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় আগুন লাগার ঘটনায় পুড়েছে সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি তলা। এ চার তলায় যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ, স্থানীয় সরকার বিভাগ, পল্লি উন্নয়ন ও সমবায় বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের অফিস ছিল।

২৫ ডিসেম্বর দিনগত রাত ২টার কিছু আগে আগুন লাগে, ছয় ঘণ্টা চেষ্টার পর বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে ফায়ার সার্ভিস। আগুন পুরোপুরি নিভতে সময় লাগে প্রায় ১০ ঘণ্টা।

এ ঘটনায় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবের নেতৃত্বে গঠিত তদন্ত কমিটি প্রাথমিক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বৈদ্যুতিক ‌‘লুজ কানেকশন’ থেকে এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।

Share.
Leave A Reply

Exit mobile version