চলমান বোর্ডার-গাভাস্কার সিরিজের শুরু থেকেই জমজমাট লড়াই উপহার দিয়ে আসছে ভারত-অস্ট্রেলিয়া। শেষ টেস্টে ভারতের সামনে সিরিজ ড্র করার সুযোগ নাকি অজিদের কর্তৃত্ব, তা জানতে আর হয়তো খুব বেশি সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে না। যদিও সিডনি টেস্টে এখনও তিনদিন বাকি। তবে আজ দ্বিতীয় দিন ১৫ উইকেটের পতন ভিন্ন আভাসই দিচ্ছে। টার্গেট দেওয়ার লক্ষ্যে ভারত দ্বিতীয় দিন শেষে সংগ্রহ করেছে ৬ উইকেটে ১৪১ রান, তাদের লিড ১৪৫ রান।
আগের টেস্টগুলোর মতো পেসাররাই যে সিডনিতে রাজ করবে– সেটা পিচ রিপোর্ট দেখেই অনুমান করা যাচ্ছিল। তেমনই দেখা গেল সিরিজের পঞ্চম ও শেষ টেস্টের দুই দিনে। প্রথমদিন ১১ এবং আজ (শনিবার) দ্বিতীয় দিন উভয় দল ১৫ উইকেট হারিয়েছে। যেখানে নির্দিষ্ট করে কোনো দলকেই খুব একটা এগিয়ে রাখার সুযোগ নেই। প্রথম ইনিংসে ভারত ১৮৫ রানে গুটিয়ে যাওয়ার পর, অস্ট্রেলিয়া অলআউট হয়েছে ১৮১ রানে। ফলে সফরকারীরা ৪ রানের লিড পায়।
বেশ নাটকীয় এক দিনই দেখেছে ক্রিকেটবিশ্ব। যেখানে ভারত-অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা চিত্রনাট্য লিখেছেন। এরই মাঝে আবার সফরকারীদের দুশ্চিন্তা বাড়িয়েছে প্রধান পেসার ও এই ম্যাচের অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরাহ’র ইনজুরি। যাকে দিনের উল্লেখযোগ্য সময় পায়নি ভারত। তবে তাদের খুব একটা সংকটে পড়তে হয়নি। ১ উইকেটে ৯ রান নিয়ে গতকাল প্রথমদিন শেষ করেছিল প্যাট কামিন্সের দল। আজ দ্বিতীয় দিন তারা ভারতকে অনুসরণ করে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে।
অজিদের হয়ে দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা ওপেনার স্যাম কনস্টাসের সঙ্গে বুমরাহ’র লড়াইটা জমতে পারে মনে হচ্ছিল। আজও কনস্টাসকে স্কুপ শটে বাউন্ডারি খেলেছেন এই পেসারের বলে। তবে তাকে ২৩ রানেই থামিয়ে দেন মোহাম্মদ সিরাজ। বুমরাহ’র অনুপস্থিতিতে সিরাজ-নিতীশ ও প্রসিধ কৃষ্ণারা পথ দেখিয়েছেন ভারতকে। অন্যদিকে, অজি টপঅর্ডার মার্নাস লাবুশেন (২) ও ট্রাভিস হেডরা (২) ব্যাট হাতে খুব দ্রুতই ফিরেছেন। ফলে অভিষিক্ত অলরাউন্ডার ব্যু ওয়েবস্টার ফিফটি না পেলে বিপর্যয় আরও বড় হতো অজিদের।
ওয়েবস্টার ১০৫ বলে ৫টি চারে ৫৭ এবং অভিজ্ঞ স্টিভেন স্মিথ ৫৭ বলে খেলেন ৩৩ রানের ইনিংস। এ ছাড়া অ্যালেক্স ক্যারি ২১ এবং কামিন্সের ১০ রানই স্বাগতিকদের টেনেটুনে ভারতীয় পুঁজির পথে নিয়ে যায়। তবে ৪ রানে পিছিয়ে থেকেই থামে তাদের প্রথম ইনিংস। ভারতের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩টি করে উইকেট নিয়েছেন সিরাজ ও প্রসিধ কৃষ্ণা। এ ছাড়া বুমরাহ ও নিতীশ রেড্ডি ২টি করে উইকেট শিকার করেন।