কানাডার রিয়েল এস্টেট খাতের পরিস্থিতি বর্তমানে ‘অস্বস্থিকর’ উল্লেখ করে তাতে বিনিয়োগে বাংলাদেশীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, কানাডায় মানুষের হাতে বাড়তি সঞ্চয়, ব্যাংক ঋণের সুদের হার হ্রাস করে ঋণের ব্যয় কমিয়ে আনার কারণে মানুষ বাড়ি কেনায় আগ্রহী হচ্ছেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ঘাটতি বাড়ির দর বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এ খাতে বিনিয়োগে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কানাডার রিয়েল এস্টেট খাতের পরিস্থিতি বর্তমানে ‘অস্বস্থিকর’ উল্লেখ করে তাতে বিনিয়োগে বাংলাদেশীদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। তারা বলছেন, কানাডায় মানুষের হাতে বাড়তি সঞ্চয়, ব্যাংক ঋণের সুদের হার হ্রাস করে ঋণের ব্যয় কমিয়ে আনার কারণে মানুষ বাড়ি কেনায় আগ্রহী হচ্ছেন। কিন্তু চাহিদার তুলনায় সরবরাহের ঘাটতি বাড়ির দর বাড়িয়ে দিচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে এ খাতে বিনিয়োগে সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
কানাডায় বাংলা ভাষার পত্রিকা ‘নতুনদেশ’ এর প্রধান সম্পাদক শওগাত আলী সাগরের সঞ্চালনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচারিত ‘শওগাত আলী সাগর লাইভে’ কানাডার রিয়েল এস্টেট মার্কেটের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় তারা এই মতামত দেন। স্থানীয় সময় বুধবার রাতে অনুষ্ঠিত ‘কানাডার রিয়েল এস্টেট মার্কেটের ভবিষ্যৎ কী’ শিরোনামে আয়োজিত এই আলোচনায় বক্তব্য রাখেন অর্থনীতিবিদ, অ্যাডমন্টনের ম্যাকইউয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. রাফাত আলম, রিয়েল্টর ও বাংলা টেলিভিশনের প্রধান নির্বাহী সাজ্জাদ আলী এবং সাংবাদিক মনজুর মাহমুদ।
অর্থনীতিবিদ ড. রাফাত আলম কানাডার সামগ্রিক অর্থনীতির হাল হকিকত তুলে ধরে বলেন, কানাডিয়ানদের হাতে এখন প্রচুর নগদ অর্থ রয়েছে। এই অর্থ তারা রিয়েল এস্টেট এবং শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করছেন। তিনি বাংলাদেশী কানাডিয়ানদের রিয়েল এস্টেট মার্কেটে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে নিজের আয়ের সাথে সম্ভাব্য ঋণের আনুপাতিক হার পর্যালোচনার পরামর্শ দিয়ে বলেন কোন অবস্থাতেই যাতে ঋণের পরিমাণ মোট আয়ের এক তৃতীয়াংশের বেশি না হয়।
রিয়েল্ট সাজ্জাদ আলী রিয়েল এস্টেট বাজারের বর্তমান পরিস্থিতিকে ’অস্বস্থিকর’ আখ্যা দিয়ে বলেন, গত ২০ বছরের পেশাগত জীবনে বাড়ির দাম নিম্নমুখী হতে কখনো দেখিনি। আবার এমন লাফিয়ে বাড়তেও দেখিনি।
তিনি যাদের সক্ষমতা আছে তাদের এখনি বাড়ির বাজারে বিনিয়োগের পরামর্শ দিয়ে বলেন, বিনিয়োগের আগে অবশ্যই নিজের আর্থিক শক্তি, আগামী দিনে ব্যক্তিগত আয়ের প্রবাহের ধারাবাহিকতা বিবেচনায় নেয়ার পরামর্শ দেন।
সাংবাদিক মনজুর মাহমুদ বর্তমান বাড়ির বাজারকে সম্পূর্ণ অস্বাভাবিক হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, একটি বাড়ি বিক্রির জন্য তালিকাভুক্ত সেটি নিয়ে বিডিং এর নামে দরের যুদ্ধ শুরু হয়ে যায়। এর মাধ্যমে বাড়ির দাম অস্বাভাবিকভাবে বাড়িয়ে ফেলা হয়। বাড়ি কেনার ক্ষেত্রে ব্যক্তির নিজস্ব সক্ষমতাকে প্রাধান্য দেয়ার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, পাঁচ বছর পর নিজের আর্থিক সক্ষমতা কোন পর্যায়ে যাবে, সেটি বিবেচনায় নিয়েই বাড়ির বাজারে বিনিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া উচিৎ।